অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে ইরান আমেরিকার সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি সম্পন্ন করেছে বলে খবর দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি বলেছেন, “আমরা কয়েকদিন আগে বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছি।”
তিনি গতকাল (রোববার) তেহরানে ইরানের নিউজ চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, মার্কিন পক্ষ যদি সবকিছু ঠিকঠাক মতো মেনে চলে তাহলে শিগগিরই দু’দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় শুরু হবে।
ইরান বন্দি বিনিময়ের বিষয়টিকে ‘সম্পূর্ণ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে’ দেখে বলে জানান আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি বলেন, তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় তেহরান ও ওয়াশিংটন গত বছরের মার্চ মাসে এ সংক্রান্ত কাগজপত্রে সই করে। ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, বন্দি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের সকল প্রস্তুতি এখন সম্পন্ন হয়েছে।
২০১৫ সালে ভিয়েনায় পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরের সময় ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে বন্দি বিনিময় সংক্রান্ত একটি সমঝোতাও সই হয়।এরপর ইরান বহুবার ওই সমঝোতার ভিত্তিতে আমেরিকার সঙ্গে বন্দি বিনিময় করতে নিজের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করে।
কিন্তু ২০১৮ সালের মে মাসে আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেলে বন্দি বিনিময় বিষয়ক সমঝোতাটিও কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববারের সাক্ষাৎকারে একথাও জানান যে, পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের জন্যও ইরান ও আমেরিকার মধ্যে বার্তা আদান-প্রদান চলমান রয়েছে।
একদিকে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বন্দি-বিনিময়ের বিষয়ে ইরানের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে উপনীত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। আর এরই প্রেক্ষাপটে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানআনি বন্দি বিনিময়ের বিষয়টিকে পুরোপুরি মানবিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, বিষয়টিকে রাজনৈতিক খেলার মাধ্যমে পরিণত করা উচিত নয়।
Leave a Reply